সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : প্রতিবেদনের বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, যেখানে করোনার সংক্রমণ কম সেখানে স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া নিরাপদ হতে পারে। কিন্তু যেখানে করোনার সংক্রমণ বেশি সেখানে স্কুল খুলে দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৫ লাখের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। সুস্থ হয়েছেন ৪৭ লাখেরও বেশি আক্রান্ত রোগী।
এদিকে দেশটিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে চারপাশে এখন সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে বিরাজমান ভয় আরও বাড়ছে। শুধুমাত্র কোভিড পজিটিভ শুনেই অনেকের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। এই আতঙ্ক এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে- অনেকে উপসর্গ থাকার পরেও পরীক্ষা করছেন না। ধরা পড়লেও তা জানাতে চান না। এমনকি তারা যে অসুস্থ তাও স্বীকার করতে চাইছেন না। এ কারণে আরও অনেক মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন।
কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে কন্টাক্ট ট্রেসিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রমণের বিষয়টি গোপন করলে এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। গবেষকরা মনে করেন, সংক্রমণ সংক্রান্ত এমন ভয় মানুষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে গেড়ে বসতে পারে, যা নতুন রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
মানুষ কেন সংক্রমণের বিষয়টি গোপন করছেন এর পুরো দায় তাদের নয়। বিষয়টি নিয়ে বৈশ্বিকভাবেই গবেষকরা কাজ করছেন। পরীক্ষার ফলে একজন মানুষ তার শরীরে করোনার সংক্রমণ বিষয়ে জানতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে তার মনে আরেকটি প্রশ্ন আসে, ‘আমি কি যথেষ্ট সচেতন ছিলাম না? আমি কি পর্যাপ্ত পূর্বপ্রস্তুতি নেইনি?’ বহু করোনা রোগীকে এমন প্রশ্ন করতে দেখা গেছে। তারা মনে করছেন, করোনা পরীক্ষার কারণেই তারা প্রিয়জন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
এসএস